রোববার (৫ নভেম্বর) হেজবুল্লাহ-পরিচালিত চ্যানেল আল মানার টিভিতে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। আঞ্চলিক প্রভাবশালী শক্তি ইরান ও তাদের সমর্থক শিয়াপন্থি হেজবুল্লাহ’র দিকে ষড়যন্ত্রের আঙুল তুলে গত শনিবার (৪ নভেম্বর) পদত্যাগ করেন সাদ আল-হারিরি।
হাসান নসরুল্লাহ বলেন, সাদের পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেওয়া বক্তৃতা সৌদির লিখে দেওয়া। সাদ পদত্যাগ করুন, তা আমাদের চাওয়া ছিল না। তার এ সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিক মনে হয়েছে।
সৌদি থেকেই সাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ভাষণ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে হেজবুল্লাহ প্রধান বলেন, তাকে যদি পদত্যাগে বাধ্য করা হয়ই, তবে ব্যাপারগুলোতে তার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, সেভাবে তিনি পারেননি।
সাদ তার ভাষণে বলেছিলেন, তিনি জীবন শঙ্কায় ভুগছেন। ইরান ও তাদের মিত্র হেজবুল্লাহ’র লেবাননে হস্তক্ষেপ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করছে। লেবাননসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে ইরান ভয়ানক উপায়ে হস্তক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেন সাদ।
নসরুল্লাহ সৌদি থেকে এভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বলেন, সাদের জন্য ভালো হতো তিনি দেশে ফিরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতেন এবং তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নিজের বাসভবন থেকে সেটা ঘোষণা দিতেন। কিন্তু তিনি রিয়াদ থেকে এই অবস্থান জানানোয় ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেল যে, লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে সৌদি।
লেবাননের জনগণের প্রতি সাদ দায়বদ্ধ উল্লেখ করে নসরুল্লাহ প্রকৃত কারণটি জানানোর জন্য তার প্রতি আহ্বান জানান।
গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাদ। তারও আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০০৫ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সাদের বাবা প্রধানমন্ত্রী রফিক আল-হারিরি। তিনি ছিলেন লেবাননের পাশাপাশি সৌদি আরবেরও নাগরিক। রিয়াদ বলয়ের লেবানিজ রাজনীতিক বাবার মতোই ভাবধারার হিসেবে পরিচিত ৪৭ বছর বয়সী সাদ। একইসঙ্গে তিনিও বাবার মতোই সৌদি নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএ/