উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প সিউল সফরে এসেছেন। পাশাপাশি সামরিক মহড়ার প্রস্তুতির কথা বলছে মার্কিন নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর একটি শীর্ষ সূত্র বলছে, একটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী নিমিৎজ, রোনাল্ড রিগ্যান ও থিওডর রুজভেল্ট। তাদের সঙ্গে থাকবে সাবমেরিন। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বুশন ঘাঁটিতে আসে গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিন ইউএসএস মিশিগান। এর সঙ্গে ছিল ১৫৪ তোমাহক ক্রুজ মিসাইল।
সিউলে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি আমরা মহাশক্তি দেখাচ্ছি। আমরা এখানে যুদ্ধবিমানবাহী তিনটি বড় রণতরী পাঠিয়েছি এবং আগে থেকেই একটি পরমাণুবাহী সাবমেরিন এখানে রয়েছে।
তিনি উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা স্রষ্টার কাছে চাইবো, যেন কখনোই কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক শক্তির ব্যবহার না করতে হয়। সেজন্য আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, উত্তর কোরিয়ার যেন বোধোদয় হয় আলোচনার টেবিলে আসার জন্য, যেটা তাদের জনগণের জন্য ভালো হয়।
দিনব্যাপী সফর শেষে সিউল থেকে চীনে যাওয়ার কথা ট্রাম্পের। সেখানেও উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে নিবৃত্ত রাখতে ট্রাম্প বেইজিংয়ের নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সম্ভাব্য এই মহড়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী ব্যাপক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।
মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর এমন তৎপরতা দেখে সোমবারই (৬ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন কর্মকাণ্ডে আরেকটি কোরিয়ান যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এইচএ/