ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হাক্কানির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১
হাক্কানির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন: জঙ্গিগোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ এ ধরনের চরমপন্থী সংগঠনগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, গত মঙ্গলবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।

কয়েকদিন আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন দূতাবাস এবং সিআইএ স্টেশনে হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।

হাক্কানি গ্রুপের এই ধরনের মারাত্মক সহিংসতার কারণে আফগানিস্তান থেকে মাার্কিন সেনা প্রত্যাহার সুষ্ঠুভাবে নাও হতে পারে পারে বলে মনে করা হয়।

আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনায় ওবামা প্রশাসনের হাক্কানির মতো জঙ্গি গ্রুপকে অন্তর্ভূক্তির নীতি গত এক দশ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আফগাননীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

অপর দিকে ক্যাপিটল হিল (কংগ্রেস) হাক্কানি গ্রুপকে কমপক্ষে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরতে থাকার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরকে সতর্ক করে দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, এরা পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।

গত মাসে অবসরে যাওয়ার আগে মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক ম্যুলেন অভিযোগ করেন, ১৩ সেপ্টেম্বর কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হাক্কানির হামলার পেছনে পাক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সহযোগিতা রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি প্রচেষ্ঠার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা হাক্কানির কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে আলোচনার কোনো দৃশ্যমান ফলাফল জানা যায়নি।

পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য এই মীমাংসা প্রচেষ্ঠার বিস্তারিত জানাতে রাজি হয়নি।

মীমাংসা প্রচেষ্ঠার ইঙ্গিত দেওয়ার সঙ্গে হিলারি এও বলেছেন, ‘সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটন অনড় থাকবে। হোয়াইট হাইজ আশা করে, এতে করে একটা সমঝোতায় আসতে জঙ্গিরা বাধ্য হবে। ’

একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাতকারে হিলারি বলেন, ‘হাক্কানি গ্রুপ এখনও আফগানিস্তানে আমেরিকান, আফগান ও মিত্রদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা দরজা বন্ধ রাখিনি। ‘

তিনি বলেন, ‘আমরা আফগানদের সমর্থন দিতে চাচ্ছি এবং তারা দেখতে চায়, কোনো অগ্রগতি হচ্ছে কি না অথবা এমন কোনো গ্রুপ বা তাদের নেতাদের আপনার চোখে পড়ছে কি না যারা অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আগ্রহী। ’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই শান্তি আলোচনার বিস্তারিত কৌশল কী বা আফগানিস্তানে অবস্থানরত সেনা কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে অবস্থানই বা কী হবে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।