সানা: ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেছেন, তিনি শিগগিরই সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেবেন এবং পদত্যাগ করবেন।
কিন্তু বিরোধীরা তার এ কথায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সালেহ যখন এই কথা বলেন তখনই তার অনুগত বাহিনী সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর দমনপীড়ন চালায়।
শনিবার সালেহ অনুগত বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
সালেহ বলেন, তাদের হাতে দেশকে ধবংস হতে দেওয়া যায়না। হোক তারা দেশ চালাতে সক্ষম পুরুষ, সেনা অথবা বেসামরিক ব্যক্তি।
প্রেসিডেন্ট সালেহর শীর্ষ সূত্রগুলো একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, সালেহ বলতে চেয়েছেন যে, তিনি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোর নেওয়া উদ্যোগ কাঠামোর আওতায়ই পদত্যাগ করবেন। অর্থাৎ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন।
সালেহ বিরোধী অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, সালেহ ক্ষমতা ছাড়বেননা। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
কিন্তু সালেহ বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের কয়টি ছেলে আছে। প্রেসিডেন্টের পরিবার কত বড়। তার কতগুলো ভাই অথবা নাতি নাতনি রয়েছে। তাদের মধ্য থেকে কয়জন ক্ষমতায় রয়েছে। ’
উল্লেখ্য,সালেহর ছেলে আহমেদ এবং তার কতিপয় ভাতিজা দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর ইউনিট নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে, রাজধানী সানায় প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনারা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সোমবার সকালে রকেট, মর্র্টার এবং ভারী মেশিনগানের হামলা চালিয়েছে।
এই হামলা সোমবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে সকালে গুরুতর আকার ধারণ করে। শহরের অনেক জায়গা থেকেই ভারী বিস্ফোরণের শোনা গেছে। মোট কতজন নিহত হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তিনজনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।
একটি আন্তজাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধি জানান, পরিস্থিতি খুবই থমথমে। সানার মহাসড়কগুলো সকালের দিকে জনশূন্য দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১