আঙ্কারা: তুরস্কের সেনারা ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার এক সামরিক অভিযান চালিয়েছে।
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) মুখপাত্র রোজ ওয়ালেট একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, তুরস্কের এই সামরিক অভিযানে কমপক্ষে নয়টি শিশু নিহত হয়েছে।
তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর চৌকিতে বুধবার কুর্দি বিদ্রোহীদের হামলায় কমপক্ষে ২৬জন তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তুরস্কের সেনারা এই অভিযান চালায়।
পিকেকে ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে। স্বাধীনতার দাবিতে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আঙ্কারার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুদির্স্তান অঞ্চলের হাক্কারি প্রদেশের কাছে কিউকারকা এবং ইউকসেভা পুলিশ ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবারের এই হামলার বিষয়ে পিকেকের মুখপাত্র রোজ ওয়ালেট বলেন, ‘আপনারা জানেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগে সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করে গেছেন এবং আমাদের সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের গেরিলারাও তুর্কি সেনাদের বিরুদ্ধে চোরাগুপ্তা হামলা শুরু করেছে। ’
তুরস্কের সেনাবাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কানদিল পাহাড়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান সজ্জিত হামলার কথা স্বীকার করেছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেন, এটা খুবই পরিষ্কার যে, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির পেছন থেকে কেউ ঈন্ধন যোগাচ্ছে। তবে এরা কারা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কোন কিছু বলেননি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবুদল্লাহ গুল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কাউকে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, যারা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলবে, আমরা তাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলবো। ’
উল্লেখ্য, কুর্দি বিদ্রোহীরা তুর্কি রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন চায়। এই দাবিতে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টাম, অক্টোবর ২০, ২০১১