ত্রিপোলি: মুয়াম্মার গাদ্দাফি ‘ক্রসফায়ার’ এ পড়ে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল-এনটিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল।
তিনি গাদ্দাফির মৃত্যু নিশ্চিত করে ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিরতে একটি সুরঙ্গ থেকে গাদ্দাফিকে বন্দি করার পর তার অনুগত বাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বাহিনীর গোলাগুলির সময় মাথায় গুলি লেগে তার মৃত্যু হয়।
তবে কাদের গুলিতে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি জিবরিল। তিনি বলেছেন, যখন বন্দি করা হয়, তখন গাদ্দাফি জীবিত ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ট্রাকে তোলার কয়েক মিনিটের মধ্যে `ক্রসফায়ার` এ পড়ে তিনি নিহত হন।
খুব কাছে থেকে গাদ্দফিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে যে কথা উঠেছে, এনটিসি নেতারা তা নাকচ করে দিয়েছেন।
জিবরিল বলেন, গাদ্দাফির মৃতদেহ পরীক্ষা করে চিকিৎসক যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, আমি তাই পড়ে শোনাচ্ছি- `মাথায় একটি গুলিই তার মৃত্যুর কারণ`।
তাকে বন্দি করে ট্রাকে উঠানোর পর ট্রাকটি চলতে শুরু করলে গোলাগুলি শুরু হয় এবং তখন গাদ্দাফির মাথায় একটি গুলি লাগে বলে জানান জিবরিল।
৪২ বছর পর ক্ষমতা হারানো লিবীয় শাসক গাদ্দাফি বৃহস্পতিবার সিরতে বিদ্রোহী বাহিনীর অভিযানের সময় প্রাণ হারান।
প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় আটকের খবর জানানো হয়। পরে লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) নেতারা জানান, গাদ্দাফি মারা গেছেন।
গত আগস্টে ত্রিপোলির পতনের পর এনটিসি দেশটি শাসন করছে।
অগাস্টে এনটিসি বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলিতে বাব আল আজিজিয়া প্রাসাদ দখল করার পর গাদ্দাফি ছেলেদের নিয়ে জন্মস্থল ভূমধ্যসাগর কূলের শহর সিরতেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১১