ওয়াশিংটন: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুতে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই সঙ্গে গাদ্দাফির মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের সকল ‘লৌহ মানব’-এর জন্য একটি সতর্কবার্তা বলেও জানান তিনি।
ওবামা বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং জনগণের সাথে গাদ্দাফির মৃত্যু উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘লৌহমানব’দের শাসনের সমাপ্তি অবশ্যম্ভাবি বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
একই সঙ্গে উত্তর আফ্রিকার এই তেলসমৃদ্ধ দেশটির শসক গাদ্দাফির পতনের পেছনে ওয়াশিংটনের সতর্ক থাকা নীতির কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তবে নিজের দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ার ঘটনাবলীর সাথে দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলেন ওবামা। এমনকি লিবিয়ার ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের দায়িত্ব লিবিয়ার অন্তর্বতীকালীন সরকারই গ্রহণ করবে বলে আশা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওবামা দাবি করে বলেন, ‘গাদ্দাফির ‘পেছন থেকে দেশ চালানো’ নীতিই গাদ্দাফির মৃত্যুর বৈধতা প্রতিষ্ঠিত করে। ’
যদিও লিবিয়ায় ন্যাটোর বোমা বর্র্ষনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ভূমিকা পালন করাকে কেন্দ্র করে তার এই নীতি নিজের দেশেই সমালোচনার সম্মুখীন হয়। তার কিছু রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী এই নীতিকে ‘ওবামা ডকট্রিন ’ হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করে বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আধিপত্য হুমকির সম্মুখীন হবে।
এসময় তিনি সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সহ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আকড়ে থাকা অন্য শাসকদের হুমকি দিয়ে বলেন, নিজের দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করলে তাদেরকে গাদ্দাফির পরিণতি বরণ করতে হতে পারে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, নিজ দেশের মন্দা আক্রান্ত অর্থনীতি এবং চাকরির বাজারের ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে গাদ্দাফির মৃত্যু আসন্ন ২০১২ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ওবামাকে খুব একটা সাহায্য করতে পারবে না। গত মে মাসে তার নির্দেশিত অভিযানে লাদেন নিহত হলেও তা তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে স্বল্পস্থায়ী ভূমিকা রেখেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘন্টা, অক্টোবর ২১,২০১১