জেনেভা: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে গাদ্দাফির শেষকৃত্য দেরিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার লিবিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত এবং সমাহিত করার স্থান নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগে গাদ্দাফিকে সমাহিত করা হচ্ছে না।
জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের (এনটিসি) তেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাদ্দাফির মরদেহ সমাহিত করতে কয়েক দিন দেরি হতে পারে।
এর আগে গাদ্দাফির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘অনভিজ্ঞ হাতে করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় গাদ্দাফি প্রথমে জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান। এটা আসলেই অস্বস্তিকর। ’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত সংস্থার মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘ লিবিয়াতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে। গাদ্দাফির মৃত্যু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি রাখে। ’
কোলভিল আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার দরকার আছে। তাকে জীবিত ধরার পর কীভাবে হত্যা করা হলো সে বিষয়ে আমাদের বিশদভাবে জানতে হবে। ’
গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে মোট দুইটি মোবাইল ভিডিও পাওয়া যায়। এর একটিতে তাকে জীবিত দেখা গেছে এবং অন্যটিতে তাকে মৃত অবস্থায় দেখা গেছে। তাকে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা সত্যিই অস্বস্তিকর বলেও মন্তব্য করেন কোলভিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১১