ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বিদ্রোহী সেনাদের হাতে নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ মিসরাতার এক হিমাগারে রাখা হয়েছে। গাদ্দাফির মরদেহ কোথায় এবং কখন সৎকার করা হবে এনিয়ে বেশ আলোচনা চলছে লিবিয়ার বর্তমান প্রশাসন এবং পশ্চিমা মিত্রশক্তিদের মধ্যে।
সিরিয়াভিত্তিক এক টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে গাদ্দাফির পরিবার গাদ্দাফি এবং মুত্তাশিমের মরদেহ চেয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় আরও যারা নিহত হয়েছেন তাদের মরদেহও দাবি করেছে গাদ্দাফির পরিবার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাদ্দাফির মরদেহ যাতে এনটিসি সিরতে তার নিজের গোত্রের লোকজনের কাছে ইসলামি রীতিতে সৎকারের জন্য তুলে দেয়। জাতিসংঘ, অর্গানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক কনফারেন্স এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে এবিষয়ে জোড়ালো আবেদন জানানো হয়েছে ওই বিবৃতি থেকে। ’
এদিকে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ডারস ফগ রাসমুসেন বলেন, ‘পশ্চিমা জোট প্রথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত লিবিয়াতে অপারেশন চালানোর। এরপরে অপারেশন চালানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ’
গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট প্রশ্ন এবং তার উত্তরে এক এক পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তাতে প্রশ্ন আরও ঘণীভূত হচ্ছে। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, গাদ্দাফিকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে বিদ্রোহী সেনারা। কিন্তু পরবর্তীতে গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়।
গাদ্দাফির মৃত্যু প্রশ্নে এনটিসির দাবি, গাদ্দাফি ক্রসফায়ারে মারা গেছে। অপরদিকে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, গাদ্দাফিকে আহত অবস্থায় ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে মারা গিয়েছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক আলী জাগদুন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানায়, অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর আগেই গাদ্দাফি মারা গিয়েছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আলী জাগদুন আরও বলেন, ‘আমি তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার কোনও চেষ্টাই করিনি কারণ তিনি ইতোমধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। ’
মিসরাতার একজন কমান্ডার আদ্দুল সালাম এলোয়া জানান, ‘মিসরাতার বাজারের একটি হিমাগারে গাদ্দাফির মরদেহ রাখা হয়েছে। গাদ্দাফির মাথায় একটি গুলির চিহ্ন আছে। একজন মৃত মুসলিম যে সন্মান পায় তাকেও সেই সন্মানই দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১