ওয়াশিংটন: চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাক থেকে সকল মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আর এর মধ্য দিয়ে ইরাকে মার্কিন সেনাদের নয় বছর মেয়াদী অভিযান শেষ হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে ইরাকে প্রায় ৩৯ হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করছে। ২০০৮ সালে ইরাক থেকে সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনার পর এই সৈন্য সংখ্যা দাড়ায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইরাকে মার্কিন সৈন্য ছিল প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার।
ইরাক এবং যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে একযোগে এগিয়ে যেতে পারেন সেবিষয়ে আলোকপাত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মাথা উচু করেই আমরা ইরাক থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। আর এর ভেতর দিয়েই আমেরিকার সৈন্যদের ইরাক প্রচেষ্টার ইতি ঘটলো। ’
এসময় বারাক ওবামা হোয়াইট হাউস থেকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরী মালিকির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ‘২০০৩ সালের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ইরাকে চার হাজার চারশ আটজন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছেন। ’
ইরাক যুদ্ধ
- ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে বর্হিশক্তির মোট সৈন্যসংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার, যার মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজারই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য।
- ২০১১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ছয় লাখ ৭০ হাজার ইরাকী সৈন্য দেশটিতে মোতায়েন আছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের চার হাজার চারশ আটজন সৈন্য মারা যায় এবং আহত হয় ৩২হাজার একশ ৯৫ জন।
- যুক্তরাজ্যের মারা যায় একশ ৭৯জন সৈন্য।
- এছাড়াও ইরাকের প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৫জন বেসামরিক মানুষ মারা যায় এসময়।
২০১০ সাল পর্যন্ত ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের অবস্থান করার কথা ছিল। কিন্তু এরপরও মার্কিন সৈন্যরা দেশ না ছাড়ায় ইরাকের অনেকেই এই বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে আফগানিস্তান থেকেও সৈন্য সড়িয়ে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর অনেকেই বলছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থান সুসংসহ করতেই ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। যাতে প্রযোজনের সময় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য সমাবেশ ঘটানো সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১