ঢাকা: মধুচন্দ্রিমার করতে রোববার ভারত যাচ্ছেন ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক আর হবু রানি জেতসু প্রেমা ওয়াংচুক।
হিমালয়ের কোলে ছোট্ট ড্রাগনের দেশ ভূটান।
পাহাড় ছেড়ে একেবারে নি:সীম বালু রাজ্যে। দু’টি হৃদয় একেবারে লীন হয়ে যাবে ভারতের বাদশাহি শহরের কোলে।
রাজা ভারত এসে শুধু যে প্রেমের স্রোতে গা ভাসাবেন তাই নয়- কূটনৈতিক আলোচনাও সেরে নেবেন এবার।
রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক আলোচনা করবেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী তো রয়েছেন।
রাজা মূলত: আলোচনা করবেন শিল্প-বাণিজ্য ও হাইড্রোপাওয়ার নিয়ে।
২০০৮ সালের নভেম্বরে রাজমুকুট মাথায় দেওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভারতে যাচ্ছেন। তবে ওয়াংচুকের এ যাত্রা হবে নি:সন্দেহে আজীবনের সবচেয়ে সেরা ঘটনা।
তবে ভারতে পা রেখে স্মৃতি তাড়িত হয়ে পড়বেন রানি জেতসু প্রেমা ওয়াংচুক। তিনি স্মৃতি হাতড়ে ফিরবেন সেনাওয়ারের লরেন্স স্কুল ও কালিম্পপংয়ের সেন্ট যোসেফ কনভেন্ট-এর কথা মনে করে।
যোধপুর, জয়পুর আর উদয়পুর শহর ধন্য হবে বন্ধুদেশের রাজ ঘরানার রাতের অতিথিদের পেয়ে। আর রাজা-রানি হারিয়ে যাবেন জীবনের শ্রেষ্ঠতম আজীবনের বন্ধুকে পেয়ে। চৌদ্দ বছরের প্রেম যা পরিণয়ে এসে মিলেছে।
এদিকে মধুচন্দ্রিমার মোহময় আবেশ তৈরিতে দারুন ব্যস্ত বন্ধুদেশ ভারত। বাংলাদেশও এই নব-দম্পত্তির প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তাদের মধুচন্দ্রিমা আজীবন অটুট থাকুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে।
কেননা বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভূটানই সর্বপ্রথম স্বীকৃতি জানিয়েছিল ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর। সে সময় সিংহাসনে ছিলেন রাজপিতা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুক।
সেই সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১