মিসরাতা: মিসরাতা সামরিক পরিষদের মুখপাত্র এবং দু’জন কমান্ডার বলেছেন, গাদ্দাফির মরদেহের পোস্টমর্টেম করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
আল জাজিরা শনিবার এই খবর জানিয়েছে।
শনিবারই গাদ্দাফির মরদেহের পোস্টমর্টেম হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় লাশ দাফনে দেরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এবং গাদ্দাফির পরিবার তার মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে।
গাদ্দাফির আটক নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি মোবাইল ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ভিডিওতে গাদ্দাফিকে মৃত দেখা যায় কিন্তু এনটিসি বলছে, গাদ্দাফিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়।
এদিকে, শনিবার গাদ্দাফির মরদেহ দেখতে মিসরাতায় মানুষের ঢল নেমেছে। এক পলক দেখতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে মানুষ। মিসরাতা শহরে মাংস সংরক্ষণের একটি হিমাঘরে গাদ্দাফির মরদেহ রাখা হয়েছে। সেখানে গাদ্দাফির ছেলে মুতাসিমের মরদেহও রাখা হয়েছে। তিনিও গত বৃহস্পতিবার নিহত হন।
এনটিসি প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলও মরদেহ দেখতে গেছেন বলে জানা গেছে।
এনটিসি সরকারের তেলমন্ত্রী আলী তাহুনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই গাদ্দাফির দাফন হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘তার লাশ আরো কিছুদিন হিমঘরে রাখতে বলেছি, যাতে মানুষ নিশ্চিত হয় তিনি মারা গেছেন। ’
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাদ্দাফির শেষকৃত্য খুব গোপনে করা হবে।
অনেকে ধারণা করছেন, গাদ্দাফিকে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মতো সাগরে সমাহিত করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১