ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে জীবিত চেয়েছিলেন লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল। রোববার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি একথা বলেন।
গণমাধ্যমটিকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম, গাদ্দাফি কেন লিবিয়ার জনগণের সঙ্গে অমন করেছিলেন। আমার ইচ্ছা ছিল তাকে আদালতে দাঁড় করানো। ’
তবে জাতিসংঘ গাদ্দাফির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানান জিবরিল।
রোববার লিবিয়ায় স্বাধীনতা ঘোষণার দিনই এমন মন্তব্য করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী। এদিকে গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে বিদ্রোহী বাহিনী সিরতেতে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে।
জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও গাদ্দাফির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার কমিশনার নাভি পিল্লাই পুরো ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এনটিসি বরাবর।
ওই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জিবরাইল আরও বলেন, ‘আমি একেবারে সত্যি করে বলছি, আমি গাদ্দাফিকে জীবিত চেয়েছিলাম।
ব্রিদোহীদের কমান্ডার ওমরান আল ওহেইব বলেন, ‘কর্নেল গাদ্দাফিকে একটি ড্রেনেজ পাইপের ভেতর থেকে টেনে হিচড়ে বের করা হয়েছিল। সেসময় গাদ্দাফি অনুগত ও আমাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছিল। আমি দেখিনি তাকে কে হত্যা করেছে। তবে আমি তাকে জীবিত রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি তা পারিনি। ’
কর্নেল গাদ্দাফি এবং তার সন্তান মুত্তাশিমের মৃতদেহ লিবিয়ার শহর মিসরাতার একটি মাংসের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১