দিন যতই গড়াচ্ছে গাদ্দাফির অন্তিম মুহূর্ত নিয়ে রহস্যের জট তত পাকাচ্ছে। গ্লোবাল পোস্ট নামের একটি আন্তর্জাতিক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম গাদ্দাফির আটক করার দৃশ্য নিয়ে নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহীরা গাদ্দাফিকে নিয়ে টানাহেঁছড়া করছে এবং উল্লসিত হয়ে বারবার ‘আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
প্রথমে বিদ্রোহীরা দাবি করে, তাঁরা সির্তে শহরের একটি পয়োনিষ্কাশন কালভার্টের ভেতর থেকে আহত গাদ্দাফিকে আটক করে। পরে তিনি রক্তক্ষরণে মারা যান।
তবে আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহীরা জীবিত অবস্থাতেই গাদ্দাফিকে আটক করেছে। পরে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং গাদ্দাফির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে নানা বিবরণের পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল দাবি করেন, গাদ্দাফি ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক ভিডিওচিত্রে সানাদ আল-সাদেক আল-ইউরিবি নামের লিবিয়ার এক তরুণ যোদ্ধা দাবি করেছেন, তিনি লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে আটক এবং তাঁকে পরপর দুবার গুলি করেছেন। প্রথমে বাহুর নিচে, এরপর মাথায়। এতে গাদ্দাফি গুরুতর আহত হন। তবে সঙ্গে সঙ্গে নয়, আধা ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়।
সানাদ আল-সাদেক বলেন, ‘গাদ্দাফিকে আমরা একটি রাস্তায় কয়েকজন নারী ও শিশুর সঙ্গে হাঁটতে দেখি। তাঁর মাথায় ছিল টুপি। তবে চুল দেখে আমরা তাঁকে চিনতে পারি। মিসরাতার একজন যোদ্ধা বলেন, ‘ইনিই গাদ্দাফি। চলো, আমরা তাঁকে ধরি। ’
সানাদ আল-সাদেক আরও বলেন, তিনি গাদ্দাফিকে বেনগাজিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিসরাতার যোদ্ধারা গাদ্দাফিকে নিজেদের শহরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন তিনি গাদ্দাফিকে পরপর দুবার গুলি করেন। তাঁর এই দাবি গাদ্দাফি কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে সন্দেহকে আরও উসকে দিয়েছে।
লেখাটি পাঠিয়েছেন নাঈম হামিদ।
বাংলাদেশ সময় ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১