মঙ্গলবার (১২ জুন) সন্ধ্যা থেকে এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৯৮ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া শুরু হলে বাড়িঘর ও গাছপালা উপড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেইসঙ্গে রেলপথে গাছ পড়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত, বৈরী আবহাওয়ায় প্লেন আসা যাওয়ায় বিলম্ব এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
দেশটিতে মৌসুমী ঝড় ও বজ্রপাতে মৃত ১৫ জনের মধ্যে কলকাতার সাতজন এবং হাওড়ার ছয়জন মারা গেছেন ঝড়ে গাছ উপড়ে। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের হুগলি ও বাঁকুড়া জেলায় দুইজনের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে।
এর মধ্যে রাজধানী কলকাতার কেন্দ্রীয় অংশ লেনিন সরণিতে অটোরিকশায় করে যাওয়ার সময় গাছ উপড়ে চাপা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আর পূর্বাঞ্চলের আনন্দপুর এলাকার একটি ঘর ভেঙে এবং দক্ষিণ প্রান্তের বেহালায় একটি গাছ উপড়ে পথচারিসহ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবারও আংশিক মেঘলা থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ। সেইসঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
টিএ