রাজ্যের ভদ্রকের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমলান নায়াক জানান, গত শনিবার (২৩ জুন) পাইকাশাহি গ্রামে এক শ্রমিকের মাটির ঘর থেকে ১১১টি বাচ্চা গোখরা ও ২০টি ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, দৃশ্যটা ছিলো অবিশ্বাস্য।
এছাড়াও প্রায় সাত ফুট দৈর্ঘ্যের একটি করে পুরুষ ও নারী গোখরাও উদ্ধার করা হয়েছে।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাচ্চা গোখরাগুলো একটির সঙ্গে অপরটি জড়িয়ে আছে। কোনো কোনোটি ফণা তুলছে, আবার হিস হিস শব্দ করছে।
সাপ বিশেষজ্ঞ সুবহেন্দু মল্লিক জানান, গোখরা সাধারণত ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে ৩০টি ডিম দেয়। কিন্তু এটা কি অদ্ভূত! ঘটনাক্রমে সবগুলো সাপের বাচ্চার ডিম কি একইদিনে একই সময়ে দেওয়া হয়েছিলো?
সাপ বিশেষজ্ঞ মল্লিক জানান, ভারতীয় উপমহাদেশের চারটি বিষাক্ত সাপের মধ্যে গোখরা অন্যতম। এদের ভারতীয় গোখরা বলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মালিক বিজয় ভূবন আগে থেকেই সাপের উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। কিন্তু তার ধারণা ছিলো না, কি পরিমাণ সাপ সেখানে থাকতে পারে। এর আগেও তারা বাড়ির ভেতর সাপ দেখতে পেয়েছিলো। তাদের আশঙ্কাও হচ্ছিল, সাপের সংখ্যা বাড়ছে।
বাড়ির মালিক বিজয় বলেন, আমরা সাপগুলোকে বিরক্ত করার চেষ্টা করতাম না। সাপগুলোও কখনো আমাদের সমস্যা করেনি।
উদ্ধার করা গোখরা সাপের বাচ্চাগুলোকে হাদাগড় ওয়াইল্ড লাইফ আশ্রয়স্থলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এএইচ/জেডএস