জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা বিবৃতিতে জানান, প্রায় ৯২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের অধিকাংশই জাপানের দক্ষিণ অংশ হিরোশিমার বাসিন্দা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছেন।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, কোচি অঞ্চলে তিন ঘণ্টায় ২৬.৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালের পর দেশটিতে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
জাপান আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এর আগে এরকম বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হইনি। এ পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
সংস্থাটি আরও জানায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি। কেননা বিশাল অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে ভূমিধস, বন্যাসহ বিভিন্ন বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
শিকোকুর কোচি অঞ্চলে ভূমিধসের সতকর্তা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলেও ভূমি ধসের আশঙ্কা থেকে যাবে বলে করছে কর্তৃপক্ষ।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক এনএইচকে’তে দেখা যায়, রাস্তায় উল্টে যাওয়া গাড়িগুলো কাঁদা দিয়ে ঢেকে গেছে। দোকানের ছাদে আশ্রয় নেয়া এক বিক্রয়কর্মী জানান, পানির উচ্চতা তার মাথা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পসহ নানা বিপর্যয়ের জন্য জরুরি সেবা অফিস স্থাপন করেছে জাপান সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি