থাম লুয়াং নামের এই বিপদসংকুল গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে সাঁতরে, হেঁটে, লাফিয়ে এবং হামাগুড়ি দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। উদ্ধার কার্যক্রমে বেশি ব্যবহার হচ্ছে রশি।
রোববার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন থাইল্যান্ডের পাঁচ সদস্যের এলিট নেভি সিল ও ১৩ জন বিদেশি ডুবুরি। এরইমধ্যে ছয় কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি রয়েছেন কোচসহ ছয়জন।
অভিযান দলের প্রধান নারংসাক ওসতানাকর্ণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৮ জন উদ্ধারকারী কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধারের জন্য ডুবরি ও এলিট নেভি সিল গুহার ভেতর প্রবেশ করেছে।
‘গুহাটি সাপের মতো পেচানো। জায়গায় জায়গায় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য রশি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মী ও কিশোরদের পুরো মুখে পরতে হচ্ছে মাস্ক। তবে এতে শ্বাসগ্রহণে তেমন বিঘ্ন হবে না। প্রত্যেক কিশোরকে দুইজন ডুবুরি সঙ্গ দিচ্ছেন। সে দুই ডুবুরি কিশোর ও নিজেদের জন্য অক্সিজেনও বহন করছেন। ’
ডুবুরি দলের চেয়ারম্যান মার্টিন গ্রাস বলেছেন, কিশোরদের বলা হচ্ছে যেন তারা শ্বাস আটকে না রাখে। ধীরে ধীরে তাদের শ্বাস নিতে হবে ও হাত নাড়াতে হবে।
‘টানা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানির নিচে থাকতে হতে পারে। গুহার পথের পানির ওপর এটা নির্ভর করবে। গুহার সরু রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। ’
এর আগে গুহায় কিশোরদের আটকে যাওয়ার স্থানে পর্যবেক্ষক ডুবুরির যেতে সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা আর ফিরে আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা।
সেই পর্যবেক্ষক ডুবুরি জানান, গুহা থেকে বের হওয়ার মধ্যপথ সবচেয়ে বিপদসংকুল। এ জায়গাটির নাম ‘টি-জাংশন’। টি-জাংশনের জায়গাটি খুবই সরু। টি-জাংশন থেকে বের হওয়ার জন্য ‘এয়ার ট্যাংক’ খুলে রাখতে হবে।
টি-জাংশন পার হয়ে গুহার ‘চেম্বার-৩’ নামের জায়গাটি ডুবুরিদের সম্মুখ বেজ। এখানে ডুবুরিরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। চেম্বার-৩ পার হওয়ার পর গুহার প্রবেশপথ। এখান থেকে বের হওয়ার পর উদ্ধার কিশোরদের সরাসরি নিটকস্থ চিয়াং রাই শহরের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/