সোমবার (০৯ জুলাই) সকালে ওই কিশোররা ক্ষুধা পেয়ে খাবার চেয়েছিল। পরে তাদের ভাত এবং মাংস দেওয়া হয়।
খুদে ফুটবলারদের উদ্ধারকারীদের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গুহা থেকে উদ্ধার করা ওই তিন কিশোর দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এখন তারা বল পেয়েছে এবং নিরাপদে আছে। খাবারও দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা এখনও কাছে যেতে পারেননি। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে কেউ তাদের স্পর্শ করলে কোনো সমস্যা হবে কি-না। আপাতত নানা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
কিশোরদের চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে তাদের খাবার দেওয়ার ব্যাপারে। কারণ অনেক দিন গুহায় ক্ষুধার্ত থেকে তারা রোগা হয়ে গেছে। আর আমরা মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই তাদের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেব। এর আগে দেখা করলে সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গত ২৩ জুন বার্ষিক ভ্রমণে গিয়ে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে হারিয়ে যায় ১১-১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ। পরে ২ জুলাই উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় তাদের সন্ধান পায় ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। কোচসহ চারজনকে উদ্ধার করে রাত ৯টায় তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ভেতরে এখনও রয়ে গেছে আরও নয় কিশোর। এর জন্য সোমবার সকাল ১১টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
টিএ