শুক্রবার (২৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের ছেলে ও দলের মুখপাত্র হামজা শাহবাজ শরিফ বলেন, যদিও নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই ঠিক ছিল, কিন্তু আমরা গণতন্ত্র সুদৃঢ়করণের স্বার্থে পরাজয় মেনে নিচ্ছি। অনেক সন্দেহ সত্ত্বেও আমরা বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছি।
নওয়াজ শরিফের এই ভাতিজা বলেন, গণতন্ত্রে যদিও খুঁত থাকেও, তবে সমাধান হলো আরও দৃঢ় এবং সুদৃঢ় গণতন্ত্র।
বুধবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল এসেছে তাতে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের পিটিআই। ২৭২টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তার দল এগিয়ে আছে ১১৪টি আসন নিয়ে। অন্য দিকে নওয়াজের পিএমএল-এন ৬৫ আসনে এবং বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৪২টি আসন নিয়ে। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন হয় ১৩৭টি আসনের। সে হিসেবে ইমরানের দল সমমনা কোনো ছোট দলকে নিয়েই সরকার গঠনের তৎপরতা শুরু করেছে।
যদিও ফলাফল ইমরানের দলের দিকে আসছিল বলে বৃহস্পতিবারও তা প্রত্যাখ্যান করে পিএমএল-এন। গড়াপেটার অভিযোগ তোলে পিপিপিও। কিন্তু সকালেই পাকিস্তানজুড়ে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে পিটিআই। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলেও ইমরান খানকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দেখা যায়।
পিএমএল-এন ও পিপিপিসহ বিরোধীরা নিন্দা জানালেও বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিজয় ঘোষণা করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি বলেন, পিটিআই জনগণের ম্যান্ডেটে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা নেতৃত্বে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে এটাও বলছি, আমি ক্ষমতায় গেলে সত্যিই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিক করবো। ভারত যদি এক পা এগোয়, আমরা দুই পা এগোবো।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ ক্রিকেটার নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছেন বলে অভিযোগ ছড়ালেও তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ যাবতকালের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে এবার। তিনি তার ভাষণে ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ারও ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এইচএ/