বুধবার (২৫ জুলাই) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দু'দিন পর শনিবার (২৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসিপির ঘোষণায় জানানো হয়, সরাসরি নির্বাচনের ২৭২ আসনের মধ্যে পিটিআই পেয়েছে ১১৫টি।
এছাড়া ছোট দলগুলোর মধ্যে রক্ষণশীল, ইসলামী, ধর্মীয় ও কট্টর ডানপন্থি দলগুলোর মোর্চা মুত্তাহিদা মজলিস আমাল (এমএমএ) পেয়েছে ১২টি আসন। আর পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি), মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৪, ২, ৬ ও ৪টি করে আসন।
একটি করে আসন পেয়েছে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), আওয়ামী মুসলিম লিগ (এএমএল), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসানিয়াত, জামহুরি ওয়াত্তান পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন। এর বাইরে ১৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে গেছেন এই নির্বাচনে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২ আসন জেতা বিএনপি যোগ দিতে পারে ইমরান খানের জোট সরকারে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে পিটিআই'র।
এদিকে নির্বাচনে কট্টরপন্থি দল জামায়াত-ই-ইসলামী অংশ নিয়েছে এমএমএ'র মোর্চায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গেছেন দলটির আমির সিরাজুল হকও। অথচ এই আসনটিই দলটির অন্যতম 'নিরাপদ' ঘাঁটি বলে ভাবা হচ্ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ২১ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ এবং স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমপিরা শপথ নিয়ে নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসেবে ইমরান হবেন সংসদ নেতা এবং সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি গঠন করবেন মন্ত্রিসভা।
সূত্র মতে, নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৬, ১০ ও ১১ আগস্টের মধ্যে করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাতে ১৪ আগস্টের আগেই নতুন মন্ত্রিসভা অফিস করতে পারে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৫ আগস্ট উদযাপন হতে পারে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এইচএ/