শনিবার (২৮ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ইমারজেন্সি রেসপন্স সেন্টারের (এনইআরসি) বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এনইআরসি জানায়, চলতি বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যায় মহারাষ্ট্রে ১৩৯ জন, কেরালায় ১২৬ জন, পশ্চিমবঙ্গে ১১৬ জন, উত্তর প্রদেশে ৭০ জন, গুজরাটে ৫২ জন ও আসামে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্লাবিত হয়েছে মহারাষ্ট্রের ২৬ জেলা, পশ্চিমবঙ্গের ২২ জেলা, আসামের ২১ জেলা, কেরালার ১৪ জেলা ও গুজরাটের ১০ জেলা। উত্তর প্রদেশের বিশাল এলাকাও বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এনইআরসি জানায়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী রাজ্য আসামে টানা বর্ষণ ও বন্যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রায় ১২টি টিম ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। এ রাজ্যে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন ৮টি টিম।
গুজরাটে টানা বর্ষণ ও বন্যার প্রেক্ষিতে ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ১১টি টিম।
কেরালায় বন্যায় প্রায় দেড়লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন নয় জন। মহারাষ্ট্রে উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য ৩টি অস্থায়ী উদ্ধার কেন্দ্র নির্মাণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। উত্তর প্রদেশে বন্যাজনিত নানা ঘটনায় অনুস্থ বা আহত হয়ে পড়েছেন ৬৮ জন।
এছাড়া বন্যাকবলিত সব রাজ্যেই বিপুলসংখ্যক গবাদিপশুর প্রাণহানি ও নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। বন্যার কারণে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ-অসুস্থতাও। তবে কবলিতদের আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/