স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জুলাই) রাত ১টায় দেশটির প্রধান দ্বীপ হনশুতে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে আঘাত হানে টাইফুন ‘জংদারি’। আঘাতের পর টাইফুনটি দুর্বল হয়ে পড়লেও এর প্রভাবে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি।
এর আগে জাপান আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের সর্তকতা দিয়েছিলেন।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতের পর হনশু ও আশপাশের এলাকায় বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তীব্র বাতাসে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ঘরবাড়ির।
এর আগে শনিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের শহর সোবারা থেকে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার মানুষকে এবং কুরে শহর থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় কয়েকশ’ ফ্লাইট।
এদিকে হিরোশিমা প্রদেশের গর্ভনর হিদেহিকো ইউজাকি বলেছেন, আমরা ভয়ে আছি তীব্র বাতাস ও বন্যার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তিনি বলেন, আগেভাগেই সবার নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া ভালো। এর ফলে তারা জীবন বাঁচাতে পারবেন।
গত সপ্তাহে জাপানে তীব্র তাপদাহ ও রেকর্ড বর্ষণে বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর শনিবার আঘাত হানা সামুদ্রিক ঝড়কে এশিয়ায় আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এএইচ/জেডএস