এর আগে গত ২০ জুলাই মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্থনি লোকে সোমবার (৩০ জুলাই) এমএইচ৩৭০ এর অনুসন্ধান অভিযানের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। সে হিসেবে এক হাজার ৫শ’ পৃষ্ঠার অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশটির সরকারি তদন্ত দল।
তবে ফ্লাইটটির অনুসন্ধানে নিয়োজিত তদন্ত কর্মকর্তা ড. কুক সো চুন বলছেন, প্রকাশিত এ রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা একা তৈরি করবো না। অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশ মিলে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে প্রকাশ করা হবে।
তিনি রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশের জন্য ঐক্যমতে পৌঁছেছি। তদন্ত দলের অগ্রগতিও অনেক ছিল। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে যা-ই পাই না কেনো নিশ্চিত করে প্রকাশ করতে পারবো।
এর আগে ফ্লাইটটির সন্ধান না পেয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেসরকারি অর্থায়নে শুরু করা অনুসন্ধান।
এছাড়া ফ্লাইটটির সন্ধানে ৯০ দিনের জন্য ভারত মহাসাগরের দক্ষিণের ৪৬ হাজার ৩০০ মাইল গভীরে একটি বিশাল এলাকায় জাহাজ নিয়ে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিনভিত্তিক কোম্পানি ‘ওশিন ইনফিনিটি’। কিন্তু তারা এটির খোঁজ পায়নি এবং সে সময়ে মালয়েশিয়া সরকার বলেছিল, এর অনুসন্ধান সমাপ্ত, এ নিয়ে আর নতুন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ কারারও পরিকল্পনা নেই। তারপরও আবার অনুসন্ধান শুরু করেছিল যার রিপোর্ট প্রকাশ পেলো সোমবার।
এমএইচ৩৭০’কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় এভিয়েশন অন্তর্ধান। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার উদ্দেশে ১২ জন ক্রু ও ২২৭ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল মালয়েশিয় এয়ারলাইন্স পরিচালিত বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর এ প্লেনটি। এর ঘণ্টাখানেক পড়েই এটি আকাশে হারিয়ে যায়। এ পর্যন্ত এর কোনো সন্ধান মেলেনি। কোথাও কোনো ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান তৎপরতা অব্যাহত।
প্লেনটিতে চীনা যাত্রী ছিলেন ১৫৩ জন এবং ৩৮ জন মালয়েশিয়ান। এছাড়াও ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইউক্রেন, রাশিয়া, তাইওয়ান এবং নেদারল্যান্ডস-এর যাত্রী ছিলেন এ ফ্লাইটে। আর ১২ জন ক্রু যারা সবাই মালয়েশিয়ারই ছিলেন।
এ বিষয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে প্লেনটি আকাশ থেকে পড়ে যায় এবং এর যাত্রীরা কেউ বেঁচে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
টিএ/