বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ সংবাদ প্রকাশ করে।
এর আগে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা ঘুড়িতে আগুন জ্বালিয়ে উড়িয়ে দেয় ইসরাইল সীমান্তের দিকে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ফিলিস্তিনিদের ঘুড়ি আক্রমণের কারণে ইসরাইল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাভিগেদর লিবারম্যান কারাম আবু সালেম বাণিজ্যিক সীমান্ত পথ দিয়ে জ্বালানি পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন।
লিবারম্যানের নতুন এ আদেশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
হামাসকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ঘুড়ি ও বেলুনের সাহায্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানোর ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে জুলাইয়ের ৯ তারিখে গাজায় বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণ বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। এরফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসতি গাজায় প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন দ্রব্যের সরবারহ ঘাটতি দেখা দেয়।
গত মাসের এ নিষেধাজ্ঞায় কেবল রান্নার জন্য গ্যাস, গম, আটা বাদে সব পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করে ইসরায়েল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে গাজার রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের ১২ বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলটি।
গাজা সীমান্তের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত গাজা সীমান্ত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক স্থানীয় মালামাল পরিবহন করতো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎসংকট ভয়াবহ। ফলে এ অঞ্চলের মানুষকে জ্বালানি চালিত জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়।
সম্প্রতি গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীরা ইসরায়েলের আকাশ, নৌ ও স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছে। ১৯৪৮ সালে বিতাড়িত হওয়া পর থেকে নিজভূমে ফিরে যাওয়ার জন্যও দাবি জানিয়ে আসছে গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি