শুক্রবার (৩ আগস্ট) দু’জনের বৈঠকের এই ‘ফল’ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
দফতরের মুখপাত্র হিদার নওরেট এক বিবৃতিতে বলেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গত বুধবারই (০১ আগস্ট) তুরস্কের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল হামিত গুল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সইলুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনকে তুরস্কে আটকের পর বিচারের মুখোমুখি করায় পাল্টা এ পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্ক সরকারের অভিযোগ, এ যাজক ২০১৬ সালে তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতে ছিলেন। পাল্টা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও আখ্যা দেয় আঙ্কারা।
হিদার নওরেট বিবৃতিতে বলেন, বৈঠকে কাভুসোগলু তুরস্কের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন- হুমকিধামকির ভাষা ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কারোরই কোনো লাভ হয় না। দু’জনই দেশে ফিরে মতপার্থক্যের বিষয়গুলো সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা শুরু করবেন।
এ বিষয়ে তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেলকে কাভুসোগলু বলেন, দু’জনের মধ্যে খুব গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। কেবল একটি বৈঠকের মাধ্যমে সব ইস্যুর সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি, সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও আমরা আলোচনা করবো।
অন্যদিকে পোম্পেও বলেন, আমি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যাজক ব্রুনসনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। ব্রুনসনকে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। আমি আশা করি তারা এটা দেখবেন। নিশ্চয় তারা আমাদের আন্তরিক অবস্থান সম্পর্কে বুঝেছে।
ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্ক বেশ ভালো চললেও ২০১৬ সালের জুলাইয়ে তুরস্কে সেনাঅভ্যুত্থান চেষ্টার পর এ সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ে। সেসময় তুরস্ক জানতে পারে- এই অভ্যুত্থানচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞাতসারে হয়েছে। এরপর পশ্চিমা বলয় ছেড়ে তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/