শুক্রবার (৩ আগস্ট) নিউজিল্যান্ডের ২৩তম বৃহৎ পর্বত ‘মাউন্ট অ্যাসপাইরিং’ থেকে তাকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে তিনি ভয়ঙ্কর ঝড়, তুষারপাতের পরও নৈপুণ্যের সঙ্গে টিকে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ২৯ বছর বয়সী পর্বতারোহী ট্যারি হার্চের অবস্থান শনাক্ত করতে সমর্থ হয় উদ্ধারকারীরা। তিনি দক্ষিণ দ্বীপের অনেক উঁচু পাহাড়ের ঢালে আটকে ছিলেন।
নিউজিল্যান্ড’স ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অর্গানাইজেশনের উদ্ধারকারীরা বলেন, সোমবার তুষার আবৃত পাহাড়টিতে পৌঁছার পরই হার্চ জরুরি সঙ্কেত দেন। এরপর থেকে আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জরুরি উদ্ধারকারী দল হার্চের কাছাকাছি পৌঁছাতে সমর্থ হয়। কিন্তু বাতাস, বরফ আর মেঘের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। অবশেষে শুক্রবার আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। তুষার স্পর্শের কারণে হার্চের অল্প অসাড়তা ছিল, এছাড়া সবকিছু ছিল ভালো।
উদ্ধার পরবর্তী বিবৃতিতে উদ্ধার দলের অন্যতম নেভিরি ব্ল্যাকমোরে বলেন, আমাদের জন্য এটা খুবই ভালো ফলাফল। আমরা চাইনি ওই পর্বতারোহী আর একদিনও তুষার আবৃত পাহাড়ে আটকে থাকুক।
উদ্ধারকারীরা হার্চের টিকে থাকার কৌশল সম্পর্কে প্রশংসাও করেছেন।
উদ্ধার দলের গিওফ লুন্ট বলেন, গিরিপথে হার্চ দুই রাত ধরে আটকে ছিলেন। তিনি সত্যিই খুবই ভালো কিছু সিদ্ধান্ত নেন। যার ফলে প্রবল তুষার, প্রচণ্ড বাতাস ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও টিকে ছিলেন। হয়তো তার আর্মি প্রশিক্ষণের কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে।
হেলিকপ্টার পাইলট সিয়ান মুলালি বলেন, প্রথমে হার্চকে শনাক্ত করা যাচ্ছিলো না। পরে একবার পুরো পাহাড় আবর্তনের পর হাতের ইশারা দেখতে পাই। সে সত্যিই খুবই ভাগ্যবান যে এখনো বেঁচে আছে।
গত দশকে নিউজিল্যান্ডের ‘মাউন্ট অ্যাসপাইরিংয়ে’ ৩০ জনের বেশি পর্বতারোহী প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এএইচ/এএ