শনিবার (০৪ আগস্ট) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) এর সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও।
সিঙ্গাপুরে আসিয়ান সম্মেলনের এক বৈঠকে পোম্পেও সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, এ অর্থ সমুদ্র তীরবর্তী নিরাপত্তা, মানবিক কাজের সহায়তা, শান্তিরক্ষার বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা বলে। পোম্পেও এ সহায়তাকে ‘এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের নতুন যুগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘মুক্ত ও অবাধ’ ইন্দো-প্যাসিফিকের উন্নয়নের কথা বলছে। একইসঙ্গে চীনও এ অঞ্চলে ভূ-রাজনীতি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে বন্ধনের জন্য কাজ করছে। দক্ষিণ চীন সাগরসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সময়ের উত্তেজনার জন্য প্রভাব বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০২ আগস্ট) চীন ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পানি বিতর্ক নিয়ে বিভিন্ন আচরণবিধি সম্পর্কিত চুক্তি হয়। অনেকে একে ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি বলে সম্বোধনও করছেন।
তবে দক্ষিণ চীন সাগরে চায়নার সামরিক শক্তির বৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বৈঠকে জানিয়েছেন মাইক পোম্পেও।
এছাড়াও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তার কথাও উল্লেখ করেন পোম্পেও। তিনি বলেন, ‘মুক্ত ও অবাধ’ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তাও অপরিহার্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এএইচ