শনিবার (৪ আগস্ট) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করে।
নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পিয়ং ইয়ং অবৈধভাবে জাহাজ থেকে জাহাজে তেল জাতীয় দ্রব্য স্থানান্তর বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে অস্ত্র বিক্রির চেষ্টাও করছে।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) একটি বিশেষজ্ঞ দল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ গোপনীয় প্রতিবেদন হাজির করে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের পর দলটি এ প্রতিবেদন দেয়।
তবে এ প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি পিয়ং ইয়ং।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার দিলেও উত্তর কোরিয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ তথ্য পেয়েছেন।
চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু মহলের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করেনি। এর মাধ্যমে দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে। এছাড়াও দেশটি লিবিয়া, ইয়েমেন, সুদানসহ বেশকিছু দেশে অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আশা প্রকাশ করেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বন্ধ হবে। পম্পেও এর এমন বক্তব্য দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো নিরাপত্তা পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি