এক সপ্তাহ আগে দ্বীপটিকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর গত রোববার (৫ আগস্ট) ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয় লমবোকে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিকম্পের দু’দিন গড়ালেও এখনো জনমনের ভীতি-শঙ্কা কাটেনি। বাস্তুহারা লোকজন ভয় পাচ্ছেন ভিটেমাটিতে ফিরতে।
ইন্দোনেশিয়ান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরওয়ো নুগরোহো বলেন, লমবোকের উত্তরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য তিনটি সি-১৩০ হারকিউলিস প্লেন, দুইটি হেলিকপ্টার কাজ করছে। উদ্ধারকর্মীরা তাঁবু গেড়ে বাস্তুহারাদের মাথা গোঁজার জায়গা করে দিচ্ছেন। দিচ্ছেন স্বাস্থ্য সেবাও।
ভূমিকম্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ২৩০ জন।
আরেক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, লমবোকের উত্তরাঞ্চলে ৮০ শতাংশ অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার প্রধান অঞ্চল মাতারামের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। মেডিকেল স্টাফরা ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে লমবোকের পাশ্ববর্তী গিলি দ্বীপে এখনও আটকে আছেন প্রায় ২ হাজার পর্যটক। যাদের মধ্যে অনেক বিদেশিও রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে নৌকা পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববারের ভূমিকম্পের বিষয়ে স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে সবাই এদিক-সেদিক ছুটতে থাকে। শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা এখনও সেই অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, এ ভূমিকম্পটি গত সপ্তাহের ভূমিকম্পের চেয়ে প্রবল। গত সপ্তাহে লমবোকেই আঘাত হানা ভূমিকম্পে ১৬ জনের প্রাণহানি হয়।
প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং ত্রাণ বিতরণ আরও বাড়াতে বেশি করে ফ্লাইট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/