ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কেরালায় বন্যায় নিহত বেড়ে ২৯, বাস্তুচ্যুত ৫৪ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
কেরালায় বন্যায় নিহত বেড়ে ২৯, বাস্তুচ্যুত ৫৪ হাজার কেরালায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।

ঢাকা: ভারতের কেরালা রাজ্যে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। অনেক জায়গায় মহাসড়ক ভেঙ্গে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের অর্ধেকের বেশি এলাকার ঘরবাড়ি। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৫৪ হাজার মানুষ। আর প্রাণহানি বেড়ে ২৯ জনে ঠেকেছে। 

শনিবার (১১ আগস্ট) দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  

খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর পাঁচটি দল রাজ্যের ১৪ জেলার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের সাত জেলায় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।

রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে নৌবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।  

টানা বর্ষণের কারণে পেরিয়ার নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কোচির উইলিংডন দ্বীপের বেশ কিছু অংশ ভেসে যেতে পারে।

দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যের অন্তত ৪০টি নদীর পানি বেড়েছে।  

কেরালা রাজ্যে গত বুধবার (০৮ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া বন্যায় ধাপে ধাপে প্রাণহানি বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যার কারণে ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন আর ডুবে মারা গেছেন ৪ জন। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য চালু রয়েছে ৪৩৯টি ক্যাম্প।

এদিকে পর্যটকদের ইদুক্কি দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ওয়েনাদ ও কোজিকোদে আটকেপড়াদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। ইদুক্কি ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সতকর্তা জারি করা হয়েছে।

রাজ্যের পর্যটক মন্ত্রী কাদাকামপাল্লে সুরেদ্রান বলেন, আটকেপড়া ৫০ জন পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জন বিদেশি।  

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের ৫৮টি বাঁধের মধ্যে ২৪টির পানি সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে স্লুইস গেট খুলে পানি সরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।  

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ী বিজয়ান বন্যা পরিস্থিতি ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বলেন, সামরিক, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।