তবে এ দরপতনকে তিনি ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধের শিকার’ বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার (১১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এরেদোগান এ কথা বলেন।
তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘটনায় এমন মন্তব্য করেন এরদোগান।
এর আগে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ফলে লিরার ১৮ শতাংশ দরপতন হয়। তা থেকেই তুরস্ক অর্থনৈতিক যুদ্ধের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এরদোগান।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে যাদের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে।
এসময় তিনি এসব চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এরদোগান তার বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে বাস্তবে লড়তে পারছে না, তারাই অনলাইনের মাধ্যমে কল্পিত মুদ্রা দরপতন করেছে। যা বাস্তবে আমাদের উৎপাদন ও অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়নি, ধ্বংসও হয়নি, এমনকি দেউলিয়াও হয়নি বা তেমন কোনো সংকটেও পড়েনি।
মার্কিন যাজক আটকের ঘটনায় সম্প্রতি তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন সরকার তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন কর্মকর্তাকেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন এরদোগান।
এরপর শুক্রবার (১০ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এএইচ/টিএ