দেশটির ন্যাশনাল ইমারজেন্সি রেসপন্স সেন্টারের (এনইআরসি) বরাত দিয়ে সোমবার (১৩ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রাণহানির এ তথ্য জানায়।
খবরে এনইআরসি’র বরাত দিয়ে বলা হয়, চলতি বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি ও বন্যায় দেশটির কেরালা রাজ্যে ১৮৭ জন, উত্তর প্রদেশে ১৭১ জন, পশ্চিমবঙ্গে ১৭০ জন, মহারাষ্ট্রে ১৩৯ জন, গুজরাটে ৫২ জন, আসামে ৪৫ জন, নাগাল্যান্ডে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এনইআরসি বলছে, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে মহারাষ্ট্রের ২৬ জেলা, আসামের ২৩ জেলা, পশ্চিমবঙ্গের ২২ জেলা, কেরালার ১৪ জেলা, উত্তর প্রদেশের ১২ জেলা, নাগাল্যান্ডের ১১ জেলা ও গুজরাটের ১০ জেলা। এরমধ্যে আসামে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমির শস্য তলিয়ে গেছে প্লাবনে।
আসামে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি রেসপন্স ফোর্সের ১৫টি দল উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। প্রত্যেক টিমে রয়েছেন ৪৫ জন সদস্য। এছাড়া উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আটটি করে, গুজরাটে সাতটি, কেরালা ও মহারাষ্ট্রে চারটি করে এবং নাগাল্যান্ডে একটি টিম উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, তামিলনাডু, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, নাগাল্যান্ডসহ ১৬টি রাজ্যে সতকর্তা জারি করেছে।
কেরালা
কেরালার প্রশাসন বলছে, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। সোমবারের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরালার ইদুক্কি বাঁধে ২ হাজার ৩৯৭ ফুট পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ এ অঞ্চলে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতে ইদুক্কি, কান্নুর, এরনাকুলাম প্রভৃতি জেলার মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ
রাতভর বৃষ্টির কারণে পুরো হিমাচল প্রদেশের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ট্রাফিক জ্যাম। যাতায়াত করতে পারছেন না পর্যটক ও স্থানীয়রা। একজন কর্মকর্তা জানান, রাজ্যের কিন্নাউর, শিমলা, চাম্বা, মান্দি, কুল্লু, সিরমাউর জেলার সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে। রাস্তা চালুর জন্য কাজ চলছে।
উত্তরাখণ্ড
বর্ষণের কারণে রোববার (১২ আগস্ট) রাত থেকে বন্ধ রয়েছে প্রদেশের বদ্রিনাথ মহাসড়ক। স্থানীয় কর্মকর্তারা মহাসড়কে যান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন রাজ্যের কয়েকটি জেলায় টানা ভারী বর্ষণ হতে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/