সোমবার (১৩ আগস্ট) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন গজনীতে সরকার ও তালেবানদের চতুর্থ দিনের মতো সংর্ঘষ হয়।
খবরে বলা হয়, তালেবান সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়তে গজনী প্রদেশের রাজধানীতে সরকার আরও শক্তি বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও তালেবান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলার প্রস্তুতিও নিয়েছে সরকার।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারিক শাহ বাহরামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১০০ জনের মতো নিরাপত্তাকর্মী তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আরো ২০ থেকে ৩০ জন বেসামরিক নিহত হওয়ায় বাস্তবে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি।
তবে সংঘর্ষে শত্রুপক্ষের ১৯৪ জন যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১২ জন প্রধান কমান্ডার রয়েছেন। এছাড়াও বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫ জন তালেবান যোদ্ধা।
খবরে বলা হয়, প্রদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারাও শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তেমন কোনো মন্তব্য করছেন না। ফলে যে কোন তথ্য যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরের জুনে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর তালেবানদের এটিই সবচেয়ে বড় কৌশলগত অভিযান। তালেবান সদস্যরা গজনীতে হামলার কারণে বিদ্রোহীদের ওপর শান্তি আলোচনার চাপ বাড়ছে।
কাবুল-কান্দাহার মহাসড়কের পাশে গজনী শহর অবস্থিত। এছাড়াও শহরটি কাবুল ও বিদ্রোহীর নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ।
গত ১০ আগস্ট থেকে গজনী শহরে তালেবান যোদ্ধারা হামলা শুরু করে। ওইদিন থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংর্ঘষে এতো সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এএইচ/জেডএস