সোমবার (১৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে আরও বলা হয়, সোমবার আবারও দরপতন হয়েছে লিরার।
জানা যায়, ডলারের বিপরীতে ১১ শতাংশ দরপতন হয়েছে লিরার। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে লিরার ২০ শতাংশ দরপতন হয়। দেশটির এমন অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অভাব দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
লিরার দরপতনের কারণে বিশ্ববাজারেও এর প্রভাবের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। লিরা মজুত করে রাখা ইউরোপের ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম এরইমধ্যে কমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মতো উদীয়মান বাজারেও এ দরপতনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার (১৩ আগস্ট) টোকিওতে শেয়ারের দরপতন হয়েছে ২ শতাংশ, হংকংয়ে দরপতন হয়েছে ১ শতাংশেরও বেশি।
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান সংকট মোকাবেলায় দেশটিতে সুদের হার বাড়ানোর আহ্বানের কথা খারিজ করে দিয়েছেন। বরং তুরস্কের ওপর নতুন মার্কিন শুল্কারোপের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
গবেষণা সংস্থা ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম জ্যাকসন বলেছেন, তুরস্কের অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। এদিকে সরকার দরপতনের ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে না। দরপতনের ফলে তুরস্কের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে।
চলতি বছরের শুরু থেকে ডলারের বিপরীতে লিরার দরপতন হয়েছে ৪০ শতাংশ। এক্ষেত্রে তুর্কি কোম্পানিগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় নেওয়া ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যাবে।
এদিকে তুরস্কে মার্কিন যাজক আটকের ঘটনায় তুরস্কের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। লিরার দরপতনের মাধ্যমে তুর্কি অর্থনৈতিক সংকট এরমধ্যে অন্যতম।
গত শুক্রবার (১০ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় উল্লেখ করে বলেন, আমি তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছি। এতে তাদের লিরার মান আমাদের শক্তিশালী ডলারের বিপরীতে কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি