সোমবার (২০ আগস্ট) থেকে দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী শুরু হবে। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও মিসাইল কর্মসূচি ইস্যুতে বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে দেশ দুটির পুনর্মিলন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
দেশ দুটির বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলন হবে উত্তর কোরিয়ার পর্যটন রিসোর্ট মাউন্ট কুমগাংয়ে। চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সাক্ষাতের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবারের পুনর্মিলনীতে ৫৭ হাজারের বেশি দক্ষিণ কোরিয়ান নিবন্ধন করেছেন। পরিবারের পুনর্মিলনী হবে শুধুমাত্র ১১ ঘণ্টা।
দেশ দুটির হাজারও পরিবার কয়েক দশক ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের বিরোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
৯১ বছর বয়সী মুন হিয়ুন সক। তিনি উত্তর কোরিয়ায় তার ছোট বোনের সঙ্গে মিলিত হবেন। তিনি বলেন, আমার বয়স ৯০ পেরিয়ে গেছে। আমি জানি না কখন আমার মৃত্যু হবে। আমি খুবই খুশি আমি বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। আমার ছোটবোনের সঙ্গে দেখা হবে। মনে হচ্ছে, আমি বাতাসে ভাসছি।
অবশ্য কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়া বিচ্ছিন্ন পরিবারের সাক্ষাতের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে আসছে।
খবরে বলা হয়, রোববার (১৯ আগস্ট) সীমান্তবর্তী অঞ্চল সকচোতে পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা। সোমবারের সাক্ষাতের আগে তাদের সামান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দু’দেশের ৯৩টি পরিবার তিনদিনের এ পুনর্মিলনীর জন্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করেন। পরে চারজন দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিক স্বাস্থ্যগত কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করেন। এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে আত্মীয়স্বজনদের মিলে ৮৮টি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৮৫ সাল থেকে পরিবার পুনর্মিলনী চলছে। যাদের বয়স বাড়ছে তাদের জন্য এটা খুবই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। তাদের অনেকের বয়স ৮০ বছর বা তার উপরে।
চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষে একটি তালিকায় দেখা যায়, দেশ দুটিতে মোট বিচ্ছিন্ন পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০টি। যাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৫৭ হাজার মানুষের বয়স ৮০ এর কোটায়। আবার ২১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ৯০ এর কোটায় পৌঁছেছেন।
বিচ্ছিন্ন পরিবারের মিলনে এবার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সর্বোচ্চ ১০১ বছরের এক নাগরিক অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এএইচ