ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও ভবিষ্যত অনিশ্চিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুদের। সেখানে তাদের শিক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ডো বেইবেডার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা যদি এখনই কোনো উদ্যোগ না গ্রহণ করি তবে প্রজন্ম সংকটের মতো গুরুতর বিপদে পড়তে চলেছে রোহিঙ্গা শিশুরা। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট দক্ষতা নেই এই শিশুদের। মিয়ানমার ফিরে গিয়েও তারা সমাজের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারবে না।
বলা হয়, রোহিঙ্গাদের মৌলিক সমস্যাগুলো মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সহায়তা শরণার্থী শিবিরগুলোয় পাঠানো হচ্ছে। আপাতত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো গেছে। তাছাড়া ইউনিসেফ ও এর সহায়ক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা প্রদানে কাজ করে চলছে।
গত জুলাইয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য প্রায় ১২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে শিক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারিকুলাম অনুসরণ করা হচ্ছে না এবং জনাকীর্ণ শ্রেণিকক্ষগুলোতে তেমন কোনো সুবিধা নেই বললেই চলে।
রিপোর্টে বলা হয়, সব রোহিঙ্গা শিশুর জন্য উন্নত মানের এবং বিভিন্ন জীবনমুখী দক্ষতা অর্জনে সহায়ক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এনএইচটি