সংবাদমাধ্যমকে মিসা বলেন, প্রথম নারী ফাইটার জেট পাইলট হিসেবে আমি অন্য নারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই।
জাপানের বিমানবাহিনীতে ১৯৯৩ সাল থেকে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হলেও ফাইটার জেট বা নজরদারি এয়ারক্রাফট চালানো ছিল নিষিদ্ধ।
জাপানের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা মিসা বলেন, প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় আমি টপ গান সিনেমা দেখেছি। তখন থেকেই আমার ফাইটার জেট পাইলট হওয়ার সখ। আমি নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।
জানা যায়, আরও তিন জন নারী বর্তমানে ফাইটার জেট চালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এফ-১৫ জেট ফাইটারগুলো অন্য যুদ্ধপ্লেনের সঙ্গে এয়ার-টু-এয়ার লড়াইয়ের জন্য ডিজাইন করা। শব্দের চেয়েও আড়াই গুণ গতিতে (প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) ছুটতে পারে এই প্লেনগুলো।
জাপানের বিমান প্রতিরক্ষার পক্ষ থেকে একটি টুইটের জানানো হয়, দেশের প্রথম নারী ফাইটার জেট পাইলট জন্ম নিলো।
উল্লেখ্য, জাপানে লিঙ্গ বৈষম্য ব্যাপক। দেশটির বেশিরভাগ নারীই গৃহবধূ হিসেবেই জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নারী ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
এনএইচটি