গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অনধিভুক্ত অঞ্চলের দ্বীপটিতে বিধ্বংসী হারিকেন মারিয়া আঘাত হানার পর তখন জানানো হয়, এতে ৬৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি।
৬৪ জনের প্রাণহানির প্রাথমিক খবরের প্রেক্ষিতে তুমুল বিতর্ক হলে দীর্ঘদিনের তদন্তের পর পুয়ের্তো রিকোর গর্ভনর রিকার্ডো রিসালো সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। সমালোচকরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় সরকার হারিকেনটি নিয়ে উদাসীনতা দেখানোয় এই আধুনিক শতাব্দীতে এসেও এতো বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে।
হারিকেন মারিয়ার প্রভাব নিয়ে বরাবরের মতো উদাসীনতা দেখানোয় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সরাসরি সমালোচনা করেছেন পুয়ের্তো রিকোর রাজধানী সান জুয়ানের মেয়র কারমেন ক্রুজ।
তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিধ্বংসী হারিকেন মারিয়া আঘাত হানার পর অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাত সামলিয়ে উঠতে হিমশিম খেয়েছে পুয়ের্তো রিকো। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামলে নিতে তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ১৩৯ বিলিয়ন (১৩ হাজার ৯০০ কোটি) মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তাও চায়। কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া মেলেনি।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পুয়ের্তো রিকোর গর্ভনর রিসালো বলেন, নিহতের সংখ্যা হালনাগাদ করার জন্য দাফতরিকভাবে নির্দেশ দিয়েছি। যদিও এটা অনুমান, তবুও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ-সমালোচনার প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার পুয়ের্তো রিকোর সরকারকে সহায়তার জন্য সর্বোত চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/