‘সম্ভাব্য গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের শাস্তি হওয়া উচিত’ বলে সোমবার (২৭ আগস্ট) জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট প্রকাশের পর এ দাবি করেন বিদায়ী মানবাধিকার প্রধান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হুসাইন বলেন, ওই সময় (রোহিঙ্গা সংকট) তিনি (সু চি) কিছু একটা করার মতো অবস্থানে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের ভূমিকা নেওয়ার দরকার ছিল না তার। তিনি হয়তো বলতে পারতেন, আমি দেশের নামমাত্র নেত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকলেও এই পরিস্থিতিতে তা চলবে না।
এদিকে বুধবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চি নিন্দিত হলেও নোবেল পুরস্কার খোয়াচ্ছেন না তিনি। বলা হয়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য তার লড়াইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে এই পুরস্কারের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। সেইজন্য ওই বছরই তাকে পুরস্কৃত করা হয়। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ী এই পুরস্কার পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো বিধান নেই
সোমবার জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে ‘রোহিঙ্গা গণধর্ষণের’ পাশাপাশি ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ের’ দায় দিয়ে অভিযোগ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফসহ ছয় শীর্ষ জেনারেলের নাম উল্লেখ করে তাদের আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
গতবছর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতার মুখে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রাখাইনে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনে জাতিসংঘ যা শুরু থেকেই অস্বীকার করে চলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘন্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এনএইচটি