নর্থ লন্ডনের এ বাসিন্দার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ডাউনিং স্ট্রিট অফিসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেতরে ঢুকে টেরিজাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় শুক্রবার (৩১ আগস্ট) এ সাজা ঘোষণা হয়।
গত বছরের নভেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার পর গেলো জুলাই মাসে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
সেসময় আরও সাতজনকে আটক করে লন্ডনের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে হত্যাচেষ্টার একটি পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সেসময় জাকারিয়ার ব্যাপারে বলা হয়, তিনি তার নাম-পরিচয়, ঠিকানা ও জন্মতারিখ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক-ভর্তি একটি ব্যাগ কৌশলে বুঝে নিতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের জালে আটকা পড়েন জাকারিয়া।
সাজা ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সেসময় নিরাপত্তারক্ষীদের মেরে গুলি করে বা ছুরিকাঘাতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষেছিলেন জাকারিয়া।
গ্রেফতার হওয়ার আগে জাকারিয়াকে আটক করে ব্রিটিশ সরকার সংশোধনাগারেও পাঠিয়েছিল। কিন্তু তাতেও উগ্রবাদ থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। সন্ত্রাসে অর্থায়নের দায়ে তার দুই আংকেল ব্রিটেনেরই কারাগারে বন্দি রয়েছেন, আরেক আংকেল সিরিয়ায় পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
জাকারিয়াকে ‘খুবই বিপজ্জনক ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করে বিচারক চার্লস হ্যাডন-কেভ প্যারোলে মুক্তির সুযোগ ছাড়াই ৩০ বছরের সাজা দিয়েছেন। বিচারক মন্তব্য করেন, জাকারিয়া যে বোমা বহন করছিলেন, তা ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় আরিয়ানা গ্রান্দের কনসার্টে ২২ জনের প্রাণঘাতী হামলার মতোই বিপজ্জনক হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এইচএ/