শুক্রবার (৩১ আগস্ট) জাতিসংঘের শিশু তহবিল বিষয়ক সংস্থাটি এ তথ্য জানায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনিসেফের জরুরি কর্মসূচিবিষয়ক পরিচালক ম্যানুয়েল ফনটেইন বলেন, আকস্মিক ঘটনার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি ও পুষ্টি সরবারহের পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটির। আক্রমণের কারণে পালিয়ে যেতে পারে এমন সাড়ে চার লাখ থেকে সাত লাখ মানুষের মাঝে এসব সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ইদলিবে ২৯ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এদের অর্ধেকের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে পালিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একইভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত অন্য অঞ্চলগুলো থেকে বিরোধী সমর্থকরা এখানে পালিয়ে এসেছেন।
ফনটেইন আরও বলেন, এখানে শিশু রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি। আমার মনে হয়, এটা স্মরণ করা জরুরী যে শুধু কিছু সশস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে এ আক্রমণ চলছে না। আসলে এর মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু ও নারী। যাদের এর সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীদের শেষ অধ্যুষিত অঞ্চল ইদলিব। আসাদ সরকার এ অঞ্চলটি ফের নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্ট্যাফন ডি মিসতুরা রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ককে এ অঞ্চলে মানবিক সংকট উত্তরণে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিলম্ব চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
ফনটেইন বলেন, এ অঞ্চলে এমনও শিশু রয়েছে, যারা ইতোমধ্যে সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফলে তারা খুবই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এটা অবশ্যই খুবই উদ্বিগ্নতার বিষয়।
তিনি বলেন, যদি এখানে আক্রমণ হয় তবে বেসামরিকরা আলেপ্পো, হামা কিংবা তুরস্কে পালিয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয়, এর ফলে সাড়ে চার লাখ থেকে ৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এএইচ/এমজেএফ