রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সরকারের তরফ থেকে এক ঘোষণায় এ জরুরি অবস্থা জারি হয়। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র গ্রুপগুলোর ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক লোক আহত হওয়ায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলো।
গর্ভনমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) বলে পরিচিতি পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে জরুরি অবস্থা জারি করছে প্রেসিপেন্সিয়াল কাউন্সিল, যাতে নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রাখা যায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক সপ্তাহ আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষকালে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রকেট হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে। এ কারণেই এতো বিপুলসংখ্যক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অবশ্য সংঘর্ষ থামাতে অনেক নাগরিকই পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।
২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এখন দু’টি গোষ্ঠী সরকার চালানোর দাবি করছে। এরমধ্যে একটি হলো জিএনএ। অপরটি হলো আরব ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সমর্থনপুষ্ট তোবরুক ভিত্তিক সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/