ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
জানা যায়, শুক্রবার ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের বাবা আব্দেল-আজিজ আব্দেল-আল জানান, প্রতি শুক্রবার গাজা উপত্যকায় তাদের বিক্ষোভ চলে। আর সে বিক্ষোভে এ শুক্রবারে শহীদ হওয়ার আশায় অংশ নেয় সাদি-আব্দেল-আল। তার আশা পূরণ হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথমে প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয়। এরপর তারা সীমান্তের বেড়া ভাঙার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী গুলি ছোড়ে। এসময় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ও আগুনের গোলা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
হাশেম হাসান নামে এক ফিলিস্তিনি জানান, সাদি আব্দেল-আল কয়েকটা পাথর ছুড়েছিল। যা অল্প কিছুদূর গিয়েছিল মাত্র। ইসরায়েলি সেনাদের কাছেও যায় নি। তারা প্রায় ৭০ মিটার দূর থেকে গুলি করে সাদিকে হত্যা করেছে।
১৯৭৬ সাল থেকে বছরের ৩০শে মার্চ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ‘ভূমি দিবস’ পালন করছে। ওইদিন নিজেদের মাতৃভূমির দখল ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রতিবাদে প্রতিবছর ৩০ মার্চ থেকে ছয় সপ্তাহের কর্মসূচি পালন করে তাকে ফিলিস্তিনিরা। চলতি বছর প্রাণহানি বেশি হওয়ায় এখনও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/