আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এ হ্যারিকেনে নর্থ ক্যারোলিনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে। এ পর্যন্ত ব্যাপক পরিমাণ গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
জানা যায়, সতর্কবাণী পৌছানোর প্রায় ৮ ঘণ্টা পর নর্থ ক্যারোলিনার উইলিংটন এলাকায় একটি বাড়ির উপর গাছ উপড়ে পড়লে ভেতরে থাকা পরিবারটির শিশু সন্তান ও তার মা নিহত হন। এবং শিশুটির বাবাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, হ্যারিকেনের জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় রাস্তা আটকে যাওয়ায় পেন্ডার এলাকায় এক বৃদ্ধা হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া হ্যারিকেনের সময় লিনিয়র এলাকায় জেনারেটর চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অারও একব্যক্তির মৃত্যু হয়।
নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেন, ঘণ্টায় ৯০ মাইল (১৫০ কিলোমিটারের) বেগে আঘাত হানলেও হ্যারিকেনটির গতি কমতে শুরু করেছে। তবে ফ্লোরেন্সে এ প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও বেশ কিছুদিন অবস্থান করবে ধারণা করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় আটলান্টিক মহাসাগর থেকে এটি আঘাত হেনেছে। যে কারণে ট্রেন্ট নদীসহ পুরো প্রদেশটি বিধস্ত হয়েছে।
এছাড়া সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বানে জানিয়েছেন রয় কুপার।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফ্লোরেন্সের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ক্যারোলিনা উপকূলের কোনো কোনো অঞ্চলে ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত দাঁড়াবে পানি। এছাড়াও সমুদ্রে দমকা হাওয়া বইবে।
জরুরি কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার ক্যারোলিনার চার লাখের বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/