শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ২ টা ৩০ মিনিটে উত্তর ফিলিপাইনে সর্বপ্রথম আঘাত হানে মাংকুত। যা সর্বোচ্চ ‘ক্যাটাগরি ৫’ ঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আঘাত হেনেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়ে ছিলো, ঝড়টি তার গতিপথে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে। এরইমধ্যে কয়েক লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ফিলিপাইনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশে ঝড়টি আঘাত হেনেছে। পূর্বে ঝড়টির বাতাসে গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করছিল।
তবে বর্তমানে মাংকুতের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ ৩২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আঘাত হানার পর ‘মাংকুত’ দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হংকং উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঝড়ের প্রভাবে ফিলিপাইনের উপকূলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, অন্তত ২৫টি প্রদেশে ঝড়ের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে পর্যটকদের ভ্রমণ। এরইমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট দুদার্তে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি সভা করে জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নিজেও পূর্ব নির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টাইফুন ‘মাংকুত’র চোখ অন্তত ১২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। যে কারণে ঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ৫ পর্যন্ত উঠতে পারে।
থাই ফল ‘মাংতিন’ থেকে নামকরণ করা হয়েছে ‘মাংকুত’র। এটি ফিলিপাইনে চলতি বছর আঘাত হানতে যাওয়া ১৫তম সামুদ্রিক ঝড়। এর আগে দেশটিতে আঘাত হানা শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ২০১৩ সালের ‘হাইয়ান’। সে সময় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষের প্রাণহানির খবর জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/