চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দর নগরী কেপটাউনে আফ্রিকার পর্যটন নিয়ে এক সম্মেলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেন বিশ্লেষকরা। আফ্রিকান ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন’স (এটিএ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নালেদি খাবো বলেন, অবশ্যই এটা নেতিবাচক।
তিনি বলেন, পশু কিংবা মানুষ যাই হোক। আপনি দেখবেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে অথবা ভয়ঙ্করভাবে জবাই করা হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে দেখা গেছে শঙ্কা। বিপন্নপ্রায় কালো গণ্ডার হুমকির মুখে। সবশেষ দেশটির জাতীয় পার্কে কালো গণ্ডারকে বাঁচাতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয় সরকার। কিন্তু স্থানান্তরে প্রাণ যায় ১১টি বিপন্ন কালো গণ্ডারের।
এ ঘটনাকে উদ্ধৃত করে কেনিয়ার পর্যটনমন্ত্রী নাজিব বালালা বলেন, এটা খুবই স্পষ্ট যে, আমার কর্মকর্তারা এর জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা নেয়নি। এর জন্য আমরা পদক্ষেপও নিয়েছিলাম।
কেনিয়ার মন্ত্রী বালালা বলেন, আমার মনে হয় এ ঘটনার জন্য পর্যটকরা ভয় পাবেন না। তবে পর্যটন বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার জন্য মহাদেশের আকর্ষণ কমতে পারে।
তবে খাবো বলেন, এ ঘটনার জন্য পুরো আফ্রিকাতেই প্রভাব পড়তে পারে। যার কারণে পর্যটন খাতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এছাড়া আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় সবচেয়ে বেশি হাতি রয়েছে। কিন্তু এ দেশটিতেও অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে চরমভাবে লড়তে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এক বছরে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পরিবেশগত অপরাধের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন জাতের প্রাণীর চোরাকারবারি ও পাচারের জন্য আফ্রিকা অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। বিশেষ করে হাতির দাঁত ও গণ্ডারের শিং বেশি পাচার হয়। এগুলো এশিয়া অঞ্চলে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এএইচ