তিনি বলেন, এসব অভিবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দিয়ে কোনো কাজ বা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) করাচিতে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি তহবিল গঠন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এটি তার প্রথম সরকারি সফর। এছাড়া প্রথম সফরেই তিনি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অভিবাসীদের জন্য এমন সুখবর দিলেন।
ইমরান খান বলেন, ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে করাচিতে অনেক বাঙালি ও আফগান অভিবাসী বসবাস করছেন। তাদের কোনো পরিচয় নেই। কোনো কাজও করতে পারছেন না পরিচয় সংকটের কারণে। তাই হাজার হাজার বাঙালি ও আফগান অভিবাসী নানা অপরাধের দিকে চলে যাচ্ছেন।
‘করাচিতে সন্ত্রাসবাদ ও টার্গেট হত্যাকাণ্ড কমেছে। কিন্তু ছোট ছোট অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিচয় সংকট। এটি একটি অবহেলিত পরিস্থিতি। তারা অশিক্ষিত এবং বেকার। এছাড়া তারা পাকিস্তানে বসবাসকারী বাঙালি এবং আফগান’, যোগ করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই অভিবাসীরা কয়েক দশক ধরে এখানে বসবাস করছেন। তাদের সন্তান এখানে জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু তাদের পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নেই। সব রকম সুযোগ থেকেও বঞ্চিত তারা।
ইমরান খান আরও বলেন, এই বঞ্চিত অভিবাসীরা পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট ছাড়া কোনো কাজ বা চাকরি পাচ্ছেন না। সেজন্য তারা অপরাধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই এ সংকট সমাধানে তাদের কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার।
‘তবে পাকিস্তানে প্রায় দুই মিলিয়ন বাঙালি ও বার্মিজ অভিবাসী রয়েছেন। তারা পরিচয়পত্র পাবেন না। তারা অবৈধ অভিবাসী। তাদের প্রত্যাহার করা হবে’, এও বলেন ইমরান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
টিএ