সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ওই মেয়রের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজনের ইতোগন শহর থেকে এরইমধ্যে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
গত শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইন উপকূলে আঘাত হানা বছরের শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইতোগন শহরও। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার। ওই সময় প্রবল বর্ষণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। যাতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে ‘মাংকুত’ কেন্দ্রীক বিপর্যয়ে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। একইসঙ্গে ব্যাপক আকারে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইতোগনের মেয়র ভিক্টোরিয়া পালাংদান বলেন, আক্রান্তরা খনি শ্রমিক। তারা তাদের পরিবার নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে ভূমিধসে এখানে ৪০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সবার প্রাণহানির শঙ্কাই করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, ইতোগনের জরুরি দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে পারছেন না। কারণ অঞ্চলটিতে ভূমিধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩০ মিনিটে উত্তর ফিলিপাইনে প্রথম আঘাত হানে মাংকুত। যা সর্বোচ্চ ‘ক্যাটাগরি ৫’ ঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আঘাত হানে। এরপর ঝড়টি হংকং হয়ে চীনের দক্ষিণে আঘাত হানে। সেখানেও বেশ ক’জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে।
থাই ফল ‘মাংতিন’ থেকে নামকরণ করা হয়েছে ‘মাংকুত’র। এটি ফিলিপাইনে চলতি বছর আঘাত হানতে যাওয়া ১৫তম সামুদ্রিক ঝড়। এর আগে দেশটিতে আঘাত হানা শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ২০১৩ সালের ‘হাইয়ান’। সে সময় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষের প্রাণহানির খবর জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এএইচ/জেডএস