সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘দি ফিউচার অব জবস-২০১৮’ নামক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যন্ত্র বেশি কাজ করলেও মানুষের জন্য নতুন কিছু কাজের সৃষ্টি হবে। কম্পিউটার প্রোগ্রাম ও যন্ত্রের কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য মানুষের দক্ষতার উন্নতিও করতে হবে।
সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক সংস্থাটি বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই সব কর্মক্ষেত্রের অর্ধেক কাজই সম্পন্ন হবে যন্ত্র দিয়ে। এখন যন্ত্র দিয়ে ২৯ শতাংশ কাজ করানো হয়।
সংস্থাটির অনুমান, ২০২২ সালের মধ্যে ১৩ কোটি ৩০ লাখ কর্মক্ষেত্রের সুযোগ তৈরি হবে। বিপরীতে মানুষের কর্মক্ষেত্র কমবে সাড়ে সাত কোটি।
তারা আরও বলছে, অ্যাকাউন্টিং, গ্রাহক ব্যবস্থাপনা, শিল্প, ডাক ও দাপ্তরিক কাজগুলো যন্ত্র দিয়ে করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ই-কর্মাসের জন্য মানবিক দক্ষতা লাগে এমন কাজ; যেমন বিক্রয়, বিপণন প্রভৃতির চাহিদা বাড়বে। এসব কারণে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে শ্রমিকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সৃজনশীলতা, প্রভাবিতকরণ ও গভীর চিন্তার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
এছাড়া ২০২২ সালের মধ্যে অ্যাভিয়েশন, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম সেক্টরে শ্রমিকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এএইচ/আরআর